Skip to main content

পুড়ে যাচ্ছি আমি, পুড়ে যাচ্ছে অন্তপুর



পুড়ে যাচ্ছি আমি, পুড়ে যাচ্ছে অন্তপুর


আমার চোখে পড়েছে তোর চোখ
তাতেই পুড়ে চৌচির, তাতে শুরু সকল দুঃখ শোক
অবিরাম রচে চলেছি দুঃখ সমার্থক
পুড়ে পুড়ে হই আমি অঙ্গার তিলক
ফিরিয়ে নিয়ে চোখ, করেছো তুমি বেশ
বেশ করেছ! পুড়ে আমি হয়েছি শেষ
ভ্রষ্টপাখি হারায় না নষ্ট দীপান্তরে।
ভেবে দেখ, দৃষ্টি তুমি ফিরিয়ে নিয়েই
বাঁধন ছিঁড়ে মিটিয়ে দিয়ে, সকল নিয়ে
দিয়েছো দিশা নতুন পথ, গড়েছ আগুনবাজ।
বেশ করেছো ঠিক করেছো, অগ্নি করে রাজ
হতনা কভু যে নিরিবিলি সড়কসন্ধান
তপ্ত ছোঁয়ায় তাপের আঁচে সৃষ্টি যত
যাচ্ছে পুড়ে পুড়ে,
পুড়ছে সুর তাল, পুড়ে বিবেক শান্তিপুকুর।
পুড়ে হচ্ছি ছাড়খার, পুড়ে চুরচুর।
চোখ ফিরিয়ে বাঁচিয়ে দিয়ে
বেশ করেছো। আহাহা বেশ।
আবেগসাগরে ভাসিয়ে নিয়ে।
বেশ করেছো! বেশীরকম বেশ
বেঁচে আছি তাই দেখছি যে ছল
মিছিলে দেখেছি পাখিদের মৃত্যুঢল
ফিরিয়ে দিয়ে বুঝিয়ে দিলে
ভালোবাসি ঠিক কত বেশী !
বাসি ভাল আঁখিকোণে কাজল।
ছিলেনা তুমি হৃদয়হীণা
ছিলেনা কভু পাষানবীণা
তুমিই, শুধু তুমি অতুলনীয়া
নওতো তুমি আমার এখন
তুমি আমার নিঃস্ব জীবন
হৃদি নাচাও তুমিই,
দুঃখহাসি দিনের মতো,
জ্বালিয়ে রাখ আমায় তুমি
বহ্নিশিখা যত, বন পলাশের মত
পুড়ে যাচ্ছে সবকিছু -
পুড়ে যাচ্ছি আমি, পুড়ছে জেনো শহর
পুড়ে যাচ্ছে মেঘ, পুড়ে যাচ্ছে নদী
পুড়ে যায় ঘর, পুড়ছে তপ্ত দুপুর
গ্রাম বন্দর, পুড়ে চলেছে অন্তপুর
অবিরত পুড়ে নিঃশঙ্ক চিত্ত, মনবিত্ত
পুড়ে যাচ্ছে সন্ধ্যা পুড়ে যাচ্ছে ভোর
পুড়ে যাচ্ছে বাহুডোর পুড়ছে অন্তর
পুড়ে যায় ঝিনুক, পুড়ে যায় চিবুক
পুড়ে যায় প্রতিবাদ, পুড়ে নিত্যঅশ্রু
পুড়ে জন্মজন্মান্তর, পুড়ছে অজাতশ্মশ্রু
যায় পুড়ে যৌবনবতী ইরাবতী পুড়ে দ্রৌপদী
পুড়ে ধর্মতলা আগরতলা,পুড়ে ধ্রুপদী
পুড়ে নেশা, পুড়েছে সন্ধ্যারাগ কুসুমবাগ
নিয়নআলো, নিৎসে গুলশান কলকাতা
পুড়ে চক্রব্যূহ ইন্দ্রধেনু, পুড়ে ধর্মতলা ঢাকা
পুড়ে ইশ্বরী, পুড়ছে পথ, নিত্য পুড়ে চাকা
পুড়েছে শৈশব, পুড়ে যায় মাঠ ধুধু ফাঁকা
পুড়ে আমার ব্রক্ষপুত্র,পুড়ে বিশাখা, যমুনা
পুড়ে চলে দুধভাত, পুড়ে স্বপ্ন যার যার
পুড়ে ভূমি রাষ্ট্র সরকার, পুড়ে অঙ্গীকার
পুড়ে যাস তুই, পুড়ে চলি আমি
পুড়ে যায়না নষ্ট বুকের কষ্ট শুধু...
(
পুড়ে চলে সবকিছু, অন্তহীন)
১৭/০৯/১৭

Comments

Popular posts from this blog

♣"প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য" ♣

অশ্লীল কবিতা ও কবি প্রথম পর্ব কবি তার কবিতায় শব্দের খেলা খেলবেন এটাই স্বাভাবিক। সাহিত্যে শব্দ নির্বাচনের নির্দিষ্ট কোন মানদন্ড নেই, কবিতাকে কোন কাঠামোর মধ্যেও সীমাবদ্ধ করা যায় না। শিল্পী স্বাধীনভাবে শিল্প সৃষ্টি করবেন, শিল্পের মাঝে শ্লীলতা-অশ্লীলতা খোজার চেষ্টা অর্থহীন। বাংলা কবিতায় যেসব শব্দকে আমরা অশ্লীল বলে থাকি, তার প্রয়োগ নতুন নয়। যেমন হেলাল হাফিজের, ' আমিও গ্রামের পোলা, চুতমারানী গালি দিতে জানি ' হুমায়ুন আজাদের, ' অপার সৌন্দর্য্যের দেবী সারারাত চুষবে নষ্টের লিঙ্গ' কিংবা কবি মলয়ের ' প্রচন্ড বৈদ্যুতিক ছুঁতার ' অশ্লীল শব্দে ভরপুর অসাধারণ সুন্দর একটা কবিতা। এই কবিতা গুলিতে অশ্লীল শব্দের ব্যবহার থাকলেও কোন অশ্লীলতা প্রকাশিত হয় নি। অশ্লীল শব্দের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে শ্লীল সৌন্দর্য্য, ফুটে উঠেছে জীবনবোধ, প্রকাশ করে অর্থ। অর্থাৎ সেগুলি হয়ে উঠেছে এক একটি কবিতা যা পাঠকের মন জয় করতে সক্ষম। নির্মলেন্দু গুণ ২০০৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী চত্বরে জাতীয় কবিতা উৎসবে মঞ্চে আমন্ত্রিত কবি হিসেবে নির্মলেন্দু গুণ কবিতা আবৃত

পুরুষ নির্যাতনের ছোটছোট গল্প নিয়ে উপন্যাস -- ♥♣নিরুপায় পুরুষ♦♠. মেহেদী হাসান তামিম

★পুরুষ নির্যাতনের ছোটছোট গল্প নিয়ে উপন্যাস★ পাঠকের বিপুল উৎসাহ আর আগ্রহকে সম্মান জানিয়ে উপন্যাসটির প্রথম কয়েকটি পর্ব প্রকাশ করা হলো। "পুরুষ নির্যাতন" এই উপন্যাসের ক্ষেত্রে পাঠকের মন্তব্য অতি গুরুত্বের সাথে গ্রহন করা হবে এবং প্রয়োজনে তা উপন্নাসে সন্নিবেশিত হবে। আশা করছি পুরুষ নির্যাতন উপন্যাসটি পাঠকের আগ্রহ ও ভালোবাসা কুঁড়াবে। সাথেই থাকুন, চলুন পাঠক আর লেখকের সম্মিলিত প্রায়াসে লিখা হোক " পুরুষ নির্যাতন" নামক সুবিশাল এই উপন্যাস। আরো একটি বিশেষ কথা যে কেউ, যেকোন পাঠক উপন্যাসের ধরাবাহিকতা বজায় রেখে নতুন যে কোন চ্যাপ্টার , অধ্যায়, প্যারা প্রবেশ করাতে পারবেন এবং তাঁর নামও লেখক হিসেবে এই উপন্যাসে উল্লেখ করা থাকবে। চলুন শুরু করি আমাদের প্রজেক্ট : লেখকের সাথে পাঠক। (পুরুষের জন্য লিখা মানেই নারীবিরোধী না। নারীদের প্রতি শতভাগ সম্মান আমার ছিল, আছে, থাকবে। নারীদের জন্য তো আমরা সবাই আছি, আইন আছে, সরকার আছে। কিন্তু পুরুষরা অনেক ক্ষেত্রে নির্যাতিত হচ্ছে। তাদের আসলেই দাঁড়াবার কোথাও কোন জায়গা নেই। আশেপাশে ঘটে চলা এই ঘটনাগুলো আমি আমার নতুন উপন্যাস "নিরুপায় পুরুষ" এ তু

♥মিশকালো হুরমতি ও তার পিতা টেংরামোল্লার গল্প♥------- মেহেদী হাসান তামিম

মিশকালো হুরমতি ও তার পিতা টেংরামোল্লার গল্প -------মেহেদী হাসান তামিম জীবনভর যুদ্ধ আর যুদ্ধ, যুদ্ধ আর জীবন, জীবন আর যুদ্ধ, যুদ্ধ ও জীবন দুটো শব্দের একটাই অর্থ হুরমতির কাছে - কয়টা চাল, একমুঠো ডাল, পঙ্গু বাপের জন্য বিড়ি আর বেগুনবাড়ি বস্তির ছোট্ট ঘরটার ভাড়া ৪০০ টাকা, এর থেকে বেশীকিছু কখনোই তাদের চাওয়া পাওয়ার আঙিনাতে মনের ভুলেও প্রবেশ করতে পারেনি। শরীরের রং কাল আলকাতরা থেকেও মিশকালো হওয়াতে গতর নিয়ে কোনও চিন্তাও নেই হুরমতির। চিন্তা, সেওতো তখনি আসে যখন কোনকিছু নিয়ে কারো আগ্রহ থাকে, আকাংখার সৃষ্টি হয়। আগ্রহ, আকাংখা! সশব্দে বড় একটা দম ফেলে হুরমতি। নিজেকে যাচাই করে নিতে বহু পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছে, এপাশে কখনো ওপাশে চুল বেঁধে, খোপা করে, না করে, টকটকে লাল পলাশফুল গুঁজে, না গুঁজে, সূর্যালোতে, সূর্যহীণ সময়ে - কোনভাবেই হয়নি, হয়নি যখন এনিয়ে আর কোন আশা আফসোস কোনটিই মনের ভেতরে ঠাঁয় পায়নি। রাস্তায় চললে ফুড অফিসের সামনে বসা লেংড়া ফকির আতর আলীও একবারের বেশী দুইবার তাকায় না। আতর আলী তো আর যেনতেন লেংড়া না, দুইপা নাই এমন একজন মানুষটাও তার উপস্থিতি গ্রাহ্য করেনা, এনিয়ে হুরমতির বুকে